স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে গেল ৯ হাজার ঘর

কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ হাজার ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সরকারিভাবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকাল ৩ টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প- ৮-ই, ডব্লিউ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা রাত পৌনে ১২ টায় একুশে পত্রিকাকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের ৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্যাম্প ৯ এর চেয়ারম্যান আবু তাহেরের দাবি, ক্যাম্পে ৯ এর বিভিন্ন ব্লকে ৮৭৬০ ঘর রয়েছে। তারমধ্যে ৬ হাজার ঘর পুড়ে গেছে। ওই ক্যাম্পে কমপক্ষে ১০ জন হতাহত হয়েছেন।

রোহিঙ্গা নেতা আবদুল হামিদ এর দেওয়া তথ্যমতে, ভয়াবহ আগুনে ক্যাম্পের ৮, ৯, ১০, ১১ এর প্রায় সব বসতি পুড়ে গেছে। এতে করে কমপক্ষে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।

তিনি জানান, ঘর ছাড়া এসব রোহিঙ্গারা বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, টিভি রিলে কেন্দ্র সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং, লম্বাশিয়া, মধুরছড়া, ময়নাঘোনা, জামতলী, তাজনিমারখোলা, শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা বসতি ছাড়াও অসংখ্য এনজিও’র অফিস, একটি তুর্কি হাসপাতাল, লার্নিং সেন্টার পুড়ে গেছে।

নুরুল বশরসহ কয়েকজন স্থানীয় জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পের ভিতরে থাকা স্থানীয়দের ৫ শতাধিক ঘর ও ১২শ’ বেশির দোকানপাট পুড়ে গেছে।

কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা একযোগে আগুন নেভানোর কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আমরাও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে শুনতে পাচ্ছি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সকাল থেকে তাদের রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

আরো সংবাদ