স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রাস্তা ছাড়ল হেফাজত, ৫৫ ঘণ্টা পর হাটহাজারী দিয়ে যান চলাচল শুরু

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের হাটহাজারী অংশে যান চলাচল প্রায় ৫৫ ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে।

রোববার রাত ১০টার দিকে ওই সড়ক দিয়ে অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তখনও ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের কাজ করছিল স্থানীয় প্রশাসন।

এর আগে রাতে সড়ক অবরোধ থেকে সরে যায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।

শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনের ওই সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে হেফাজত নেতাকর্মীরা।

এর মধ্যে শনিবার সকাল থেকে সেখানে ইটের দেয়ালও দেখা যায়। দেয়ালটি অপসারণ করা হয়েছে। সড়কের কয়েকটি স্থানে করা গর্ত ভরাটের কাজ চলছে।

হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, রাত ১০টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ২৬ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে সড়কটি বন্ধ ছিল। সকলের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম-ফটিকছড়ি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক যান চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে।

ওই বিক্ষোভের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে খাগড়াছড়ি এবং ফটিকছড়ি ও নাজিরহাটের পথে যানবাহন চলাচল করেনি। এতে ওইসব এলাকার লোকজন একপ্রকার অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল।

শনিবার ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট থেকে জরুরি প্রয়োজনে লোকজনকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা গেছে।

শুক্র ও শনিবার হাটহাজারী উপজেলা সদরে হাটহাজারী দারুল উলুম ময়নুল ইসলাম (হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা) এর সামনের ওই সড়কে হাজারের মতো হেফাজতে ইসলামের কর্মী সড়কে অবস্থান নিয়ে ছিল। অবরোধকারীদের বড় অংশই ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে নামাজের পর কয়েক হাজার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ওই সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।

একপর্যায়ে তারা হাটহাজারী থানা, উপজেলা ভূমি অফিস এবং উপজেলা ডাক বাংলো আক্রমণ করে ভাঙচুর চালায়।

এসময় ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগও করে হেফাজতের কর্মীরা। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

শনিবার সকাল থেকে দেখা যায়, ওই সড়কের উপর ইটের দেয়াল, লোহার গ্রিল এবং টিন ব্যবহার করে ওই সড়কে বেরিক্যাড দেয়া।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে হেফাজত কর্মীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি। শনিবার রাতভর অবস্থানের পর রোববার দিনভর তারা সড়কে ছিল।

শনিবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছিলেন, তাদের কর্মীরা ‘শান্তিপূর্ণ সড়ক অবেরাধ করছে মাত্র’।

রোববার সন্ধ্যার পর সড়ক থেকে হেফাজত নেতাকর্মীরা সরে যায়।

এরপর স্থানীয় প্রশাসন রোড রোলার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং শ্রমিকদের নিয়ে সড়কে থাকা ইটের দেয়াল সরিয়ে নিতে এবং গর্ত ভরাটে কাজ শুরু করে।

আরো সংবাদ