স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বাঁশখালীর মেয়ে, তুরস্কের ছেলে

কনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শেখেরখীলে। আর বরের বাড়ি তুরস্কের ইস্তাম্বুল। তাতে কী? ভিন দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি কোনোভাবেই বাঁধা হতে পারেনি। সমস্ত প্রতিকূলতা ছাপিয়ে জীবনের মোহনায় মিললেন তারা। বাঁধলেন গাটছড়া। আর তাতে কাজ করেছে তাদের প্রেমের একক পরাশক্তি।

বলছিলাম বাঁশখালীর মেয়ে তেহেসিন সামিরা দেলোয়ার ও তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা উনাল আরাসের কথা। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জাঁকজমকভাবে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করলেন তারা।

কীভাবেই বা বাঁশখালী কন্যার তুরস্কজয়? – এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল তাদের প্রণয়-পূর্ব প্রেম-পরিচয়ের গল্পটি।

তেহেসিন বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্যাকিয়ং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মোবাইল নেটওয়ার্কিং এর উপর পিএইচডি করছেন। বছর দুয়েক আগে সেখানে তিনি পড়তে যান। সেখানেই পরিচয় হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উনাল আরাসের সাথে। পরিচয় থেকে প্রেম অত:পর ঘর বাঁধার তুমুল স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ উভয়পক্ষের পারিবারিক সম্মতির এই বিয়ে।

তেহেসিন সামিরা বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের মোশাররফ আলী সিকদার বাড়ির অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ কন্যা ও পশ্চিম পুঁইছড়ি গ্রামের প্রখ্যাত জমিদার নুরুল আনোয়ার চৌধুরীর নাতনি। আর উনাল আরাস ইস্তাম্বুলের প্রতিষ্ঠিত মেহেতা আরাসের পুত্র।

তেহেসিন সামিরার নিকটাত্মীয় তফাজ্জল হোসেন সাকিব বলেন, ‘বিয়ের সময় উনাল আরাসের পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কনে পক্ষ করোনার কারণে ভিসা না পাওয়ায় যেতে পারেননি।’

সামিরার মা কাউসার পারভিন বলেন, ‘আমার মেয়ে তেহেসিন সামিরা মূলত কোরিয়ায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে অধ্যায়নরত। সেই সূত্র ধরে পরিচয় এবং পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই আত্মীয়তায় আমরা অনেক খুশি। আমাদের মেয়ে এবং জামাতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

আরো সংবাদ