স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন বিমানবন্দরে এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান না। গত সোমবার (৪ অক্টোবর) বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে যাত্রীসেবার মান নিয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে যাত্রীরা এই অভিযোগ করেন। গণশুনানি শুরুর আগে ১০-১২ জন যাত্রীকে গণশুনানিতে অংশ নিতে নিয়ে আসা হলেও তাঁদের ফ্লাইটের সময় হওয়ায় পরে তাঁরা চলে যান। সেখানে মাত্র দুইজন যাত্রী বক্তব্য দেন।গণশুনানি অনুষ্ঠানে গাজীপুর থেকে আসা হালিমা খাতুন অভিযোগ করেন, এমিরেটস এয়ারলাইন্সে করে দুবাই হয়ে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ফ্লাইট ছিল সকাল ১০টায়। তিনি করোনা টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১০ দিন আগে। বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষাও করিয়েছেন। তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ১৪ দিন অতিবাহিত না হওয়ায় তাঁকে ফ্লাইটে নেওয়া হয়নি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে হালিমা বলেন, ‘এখন আমার কী হবে? আমার ফ্লাইটের কী হবে?’ এটি শোনার পর বেবিচকের চেয়ারম্যান এমিরেটস এয়ারলাইন্সকে জানান। তাঁরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসীকর্মীদের করোনা পরীক্ষার ফি মওকুফের পরও যাত্রীসেবার ভোগান্তি নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে গণশুনানির আয়োজন করে বিমান কর্তৃপক্ষ।গণশুনানিতে এ ছাড়া উপস্থিত সাংবাদিক ও বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বক্তব্য দেন। যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।গণশুনানিতে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তারা সময়মতো সহযোগিতা পান না। ফলে দেশে আসতে বা বিদেশে যাওয়ার সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। এ কথা শুনে বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সেবার মান বাড়াতে আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরও বেশি সচেতন হয়ে কাজ করা হবে।’ বেবিচক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা শুরুর পর ২৪ ঘণ্টায় তিন যাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গণশুনানিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান ও বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ