স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

নূর মোহাম্মদ’র হাতে এসেছিলো রপ্তানি বাণিজ্যের প্রথম সিআইপি কার্ড

দেশের বাইরে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রথম সিআইপি কার্ড’র অর্জনকারী বাংলাদেশ বিজিনেস কাউন্সিল দুবাই এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ চট্টগ্রাম ল’কলেজের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বর্তমানে দেশের এক কোটি ত্রিশ লাখ প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করলেও একটি সময় প্রবাসীদের জন্য কথা বলার মানুষ বা প্রবাসীদের পক্ষে বক্তব্য দেয়া বা শুনার মানুষ ছিল কম। বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে কখনো কমিউনিটি নেতা বা কখনো ব্যবসায়ী নেতায় পরিণত হওয়ার নামই আজকের নূর মোহাম্মদ।

ব্যবসায়ী এই নেতা দেশের বাইরে রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য ১৯৮৮ ও ১৯৯০ সালের সিআইপি সম্মান অর্জন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স এওয়ার্ড ২০১৬-২০১৮ এর সম্মান তার হাতে আসে।

সেই ১৯৭৮ সালের ২৫ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে’র বাণিজ্য নগরী দুবাইতে এসে যখন দেখেন। বিশ্বে’র বিভিন্ন দেশের পণ্যে দুবাই’তে ভোরে উঠেছে এবং এই সব পণ্য আরবের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তখন নিজের দেশ প্রেম ও চেতনা শক্তি যথেষ্ট কাজ করেছিল। এই চেতনা শক্তি ও দেশ প্রেম উদ্বুদ্ধ করে তুলেছে দেশের পণ্য আমদানি করতে।

আস্তে আস্তে আজ দেশের শাক-সবজিতে দুবাইয়ের ফ্রুড এন্ড ভেজিটেবল মার্কেট ভোরে উঠেছে বর্তমানে এ খান কার আশিভাগ ব্যবসায়ী এখন বাংলাদেশী। এটি বাংলাদেশিদের জন্য অনেক বড় রকমের অর্জন যা দেশটিতে গত পঞ্চাশ বছর ধরে গড়েছে। আমিরাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রবীণ নেতা নূর মোহাম্মেদ স্বাধীনদেশটিভি’কে জানান, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগে কার্যকরী পদক্ষেপ ও দেশে রেমিটেন্স প্রেরণে আগ্রহ বৃদ্ধি করতে। দেশের বাহিরে রপ্তানি বাণিজ্যে সিআইপি কার্ড প্রদানের দাবি তিনি’ই প্রথম তৎকালিন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই’র কমার্শিয়াল কাউন্সিলার এম. মোশারোফ হোসেন ভূঁইয়া’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সমুহে ১২- ৮- ২০০৩ তারিখে ফ্যাক্স করেন এবং ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর তার দাবিসমুহের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

যথাক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর, অর্থ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব ও অনুলিপি নুর মোহাম্মদ, দুবাই, ইউএই,পোষ্ট বক্স ১৫৬৯৭। কমার্শিয়ালি ইম্পর্টেন্ট পার্সন (সিআইপি) বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরক এর দাবি আদায় করাটা বর্তমানে রেমিট্যান্স’র সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।

তিনি সর্বদা বিশ্বের কর্মরত এক কোটি ৩০ লক্ষ প্রবাসীদেরপক্ষ হয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট যৌক্তিক দাবি পেশ করে প্রবাসীদের জন্য আর্থিক সুবিদা আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে সরকারের ২% প্রনোদনা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে তিনি ২০১৯-২০ এর বাজেটে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য ২% প্রনোদনা প্রস্তাব ও পাশ করে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি সহায়ক পদক্ষেপ নেয়াতে। এই রেমিটেন্স বৃদ্ধি আমাদের রিজার্ভ বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে। উনার প্রস্তাব ভবিষ্যতে জনশক্তি’র শ্রমকে রপ্তানি পণ্য গণ্যকরে ৫% প্রনোদনা পাশ করানোর যৌক্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যদিও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে অগ্রসর কঠিন হলেও ব্যক্তিগতভাবে অগ্রসর হয় অনেক সহজ। এই ক্ষেত্রে কূটনীতিক মিশন এর সহযোগিতা ছাড়া প্রসার হয় প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

অন্যদিকে আমাদের সরকার দেশের এক্সপোর্ট বৃদ্ধির উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় দুবাই এর মতো আন্তর্জাতিক ও প্রতিযোগিতা মূলক মার্কেটে টিকে থাকতে হলে আমাদের পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে দ্রুত সময়ে। বর্তমানে যে সময় টুকু বিলম্ব হয় তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আস্তে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এই খানে বাংলাদেশী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণ করতে বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীরা যথেষ্ট উদ্যোমী হলেও পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীরা বিমানে স্পেস পায়না এবং অন্যদিকে পানি পথেরপণ্যগুলি পৌঁছতে যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই যোগাযোগ দ্রুত করতে পারলে দুবাই এর ফ্রুড এন্ড ভেজিটেবল মার্কেট হতে পারে বাংলাদেশী শাক-সবজি নির্ভর মার্কেট। আমাদের মনে রাখে উচিত এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দেশে ব্যাপক রেমিটেন্স প্রেরণ করে থাকে।

আরো সংবাদ