স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিমানের টিকিটে হ য ব র ল, দুঃচিন্তায় দেশে আটকা প্রবাসীরা!

করোনাকালে একদিকে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরছেন প্রবাসীরা। অন্যদিকে যারা এতদিন আটকা পড়েছিলেন বিমানের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় বড় সংকটে তারা।

অভিযোগ করছেন, হয়রানিরও। এমন পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের নতুন নীতিমালা। যাতে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৬৮ জনকে। সবমিলিয়ে হ য ব র ল এক অবস্থা।

কর্মক্ষেত্রে ফেরার জন্য বিমান অফিসের সামনে টিকিটের জন্য প্রতিদিনই হাহাকার দেখা যাচ্ছে।

দীর্ঘ লকডাউনের পর বিভিন্ন দেশ অনুমতি দিয়েছে শ্রমিকদের ফিরে যেতে। টিকিট তুলনায় যাত্রী কয়েকগুন বেশি থাকায় ভীড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শুধু ঢাকাই নয়, চট্টগ্রাম, সিলেট সহ বিভিন্ন স্থানে বিমান অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শ্রমিকরা। কিছু মিললেও দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম।

সংকট বেড়েছে আরব আমীরাত সরকারের অনুমোদন নিয়েও। কারণ নিজ দেশে অবস্থানকাল ৬ মাস হয়ে গেলে নতুন করে অনুমতি নেবার বাধ্যবাধকতা শিথিল হওয়া নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা।

মধ্যপ্রাচ্যের এক-তৃতীয়াংশ যাত্রী বহন করে বিমান। প্রতিষ্ঠানটির এমডি বলছেন, আরব আমীরাতের শর্তের বেড়াজালে বন্দি তারা।

একদিকে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরা প্রায় ৬৮ প্রবাসী। সংযুক্ত আবর আমিরাত ভ্রমনে নতুন নিয়মের কারণে ফেরত আসতে হয় তাদের।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, এ ঘটনা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে পাঁচ দিনের মধ্যে এর কারণ বের করা হবে।

এ সময় সবাইকে নিয়ম জেনে দেশের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তৃপক্ষ। ৬ মাস পর যাত্রীরা একসাথে আরব আমীরাতে পাড়ি জমাতে চাওয়ায় সংকট তীব্র হয়েছে বিমানের টিকিট নিয়ে।

আরো সংবাদ