স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রবাসীদের জন্য ঋণ কতটা সুবিধা দেবে তা নিয়ে শঙ্কা বিশ্লেষকদের ?

করোনাভাইরাসের সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রবাসীদের ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এতে কাজ হারিয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীরা স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবে বলে মনে করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী। তবে নানা শর্তের বেড়াজালে আটকে প্রবাসীদের ঋণ দিলে কতোটা কাজে দেবে তা নিয়ে সন্দিহান অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির সময় দেশে ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের ৮৭ শতাংশেরই আয়ের কোনও উৎস নেই। ৭৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ভীতির মধ্যে আছেন। ৩৪ শতাংশের সঞ্চয় বলতে কিছু নেই। ৯১ শতাংশ, সরকারি বা বেসরকারি কোনও সহায়তা পাননি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাকে’র মাইগ্রেশন প্রোগ্রামে’র গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। 

করোনার কারণে চাকরিচ্যুত বা অন্য কোনও কারণে বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ দিতে ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, আমি তো ঋণ দেয়ার জন্য পদ্ধতি সহজ করতে চাই। এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা তো আর বড় লোন না। আর ২শ’ কোটি টাকা তো কোভিড-১৯ এর জন্য। যারা এসে এখানে থেকে যাবে তারা কিন্তু অগ্রাধিকার পাবে। তাদের তো ইনকাম এখানে হবে, তারা ব্যবসা করবে না চাকরি করবে। তাদের টাকাটা বেশি প্রয়োজন।

অভিবাসন বিশ্লেষক শারিফুল হাসান বলেন, এই ঋণ নিয়ে প্রবাসীরা আসলেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। আমার মতে ঋণের শর্ত সহজ করার পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণের আওতাকে জেলা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারলেই কেবল এর সুফল পাওয়া যেতে পারে।

এক কোটির বেশি প্রবাসী দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্রকে কেবল দিয়েই গেছেন। সে তুলনায় প্রাপ্তি নেই বললেই চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে সংকটময় এই সময়ে রাষ্ট্রসহ সবার প্রবাসীর পাশে দাঁড়ানো উচিত।

সূত্র : আরটিভি

আরো সংবাদ