স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

এবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক বিমান চলাচল চুক্তি সম্পন্ন

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলে আর কোনো বাধা থাকলো না।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সরাসরি কোন ফ্লাইট ছিল না। এই চুক্তির ফলে দেশ দুটির মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল করার পথ উন্মুক্ত হলো।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মুক্ত আকাশ নীতির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ যেকোনো সংখ্যক বিমান সংস্থাকে তাদের মনোনীত বিমান সংস্থা হিসাবে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মনোনীত করতে পারবে। প্রত্যেক দেশের মনোনীত বিমান সংস্থা দুই দেশের মধ্যে আকাশের তৃতীয় ও চতুর্থ মুক্ত অধিকারে যেকোনো এয়ারক্রাফট দ্বারা যে কোনো সংখ্যক যাত্রী বিমান ও কার্গো বিমান পরিচালনা করতে পারবে। দুই দেশের মনোনীত বিমান সংস্থা আকাশের পঞ্চম মুক্ত অধিকারে যে কোনো মধ্যবর্তী কিংবা দূরবর্তী পয়েন্টে যেকোনো বিমান দ্বারা যে কোনো যাত্রী বিমান ও কার্গো বিমান পরিচালনা করতে পারবে। সেইসাথে উভয় দেশ কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি দুই দেশের বিমান যোগাযোগ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে দুই দেশের এভিয়েশন শিল্পের নানান বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আজকের এই বিমান যোগাযোগ চুক্তি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বের দৃঢ়তার নিদর্শন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, আজকে স্বাক্ষরিত বিমান চলাচল চুক্তি দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হলে তা দুই দেশের জনগণের সাথে জনগনের সম্পর্ককে নতুন মাত্রা প্রদান করবে। এই চুক্তি ব্যবসা-বানিজ্য সহ পর্যটনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ।

আরো সংবাদ