স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

তথ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যের ডিজি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে দেখতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে গেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

আজ রোববার সকালে স্কয়ার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যের ডিজি। এরপর কিছু সময় সেখানে অবস্থান করেন তিনি।

এ সময় চিকিৎসকদের কাছে হাছান মাহমুদের সর্বশেষ অবস্থা সস্পর্কে খোঁজ-খবর নেন ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্কয়ার হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. রায়হান রব্বানী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বর্ণনা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল শনিবার রাতে একুশে পত্রিকাকে জানান, চার-পাঁচদিন আগে গলায় সামান্য অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে যান।

হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার রাতে ১০১ ডিগ্রি জ্বর উঠে হাছান মাহমুদের। রাতে জ্বরের ওষুধ খেয়ে ঘুমান। সকালে উঠে দেখেন জ্বর আর নেই। দিনভর সুস্থ অনুভব করেন।

তবুও নিশ্চিত হতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ডেকে এনে করোনা ও ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তখনও তিনি সুস্থ!

নমুনা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা চলে যাওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আবার খারাপ লাগা শুরু হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, মন্ত্রীর শরীরে ১০২ ডিগ্রি জ্বর।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একুশে পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যায় ১০২ ডিগ্রি জ্বর উঠার পর অক্সিজেন লেভেল মেপে দেখি ৯৪ থেকে ৯৫ এর মধ্যে উঠানামা করছে। আর দেরি না করে রাত ৯টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চলে আসি।

এরপর রাত ১১টার দিকে তথ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, তাঁর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

আগের চেয়ে ভালো আছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শুক্রবার অনেকক্ষণ বিছানায় ছিলাম। আজকে (শনিবার) জ্বর, শুকনো কাশি কিছুই নেই। আমি কাজ পাগল মানুষ। এভাবে হাসপাতালে শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে না।

স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা তথ্যমন্ত্রীকে দেখার উপায় আপাতত নেই। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখানে দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ নেই। আমার স্ত্রী কিছু সময়ের জন্য আসতে পারলেও তাকে দূরত্ব বজায় রাখতে হয়।

করোনাভাইরাস মহামারীকালে প্রায় প্রতিদিনই সচিবালয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কাজ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। করোনাকালে মন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

আরো সংবাদ