স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিপর্যস্ত জনশক্তি রপ্তানি সন্তুষ্টি রেমিট্যান্সে

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে দেশের জনশক্তি রপ্তানি খাতে। বেশ কয়েক বছর ধরে গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানো হলেও বিদায়ী ২০২০ সালে তাতে ধস নেমেছে।

এ বছরের প্রথম তিন মাসে ২ লাখেরও কম শ্রমিক বিদেশে গেছেন। করোনায় বন্ধ হওয়া শ্রম বাজার এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। অথচ করোনাকালীন গত ৯ মাসে কাজ হারানোসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ফিরে এসেছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার শ্রমিক। বিদেশে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ থাকায় বেসরকারি রিক্র্যুটিং এজেন্সি মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অবশ্য করোনাকালেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরও বেড়েছে জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সূত্রমতে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও ১০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি। সূত্রমতে, এপ্রিল-জুন পর্যন্ত লকডাউনের কারণে কোনো শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো যায়নি। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গিয়েছে মাত্র ৮ হাজার অভিবাসী। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। তাই খুব স্বল্প পরিসরে হলেও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর আলম। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গতি ফিরিয়ে আনাকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখলেও তাতে আশাবাদী প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এজন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরিতে প্রাধান্য দেওয়াসহ নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চালাচ্ছে সরকার। অবশ্য এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি রিক্র্যুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন-বায়রার মহাসচিব।

জনশক্তি রপ্তানি খাতের এ বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর দেশে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ পালিত হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয়ভাবে এবারের অভিবাসী দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে আগামী ৬ জানুয়ারি।

করোনাকালে জনশক্তি রপ্তানিখাতের অবস্থা সম্পর্কে বেসরকারি বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত। গত ৫ থেকে ৬ বছরের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর যেখানে এদেশ থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ লোক বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য পাঠানো হতো সেখানে, এ বছর ২ লাখও পাঠানো সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে করোনাকালে বিভিন্ন কারণে বেশ সংখ্যক কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন, আবার কিছু কর্মী ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন। করোনার আগে আমাদের হাতে লক্ষাধিক কর্মী পাঠানোর ডিমান্ড ছিল, সেগুলোও পাঠাতে সক্ষম হইনি। এতে এজেন্সি মালিকরাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে থেকে কিছু দেশে কর্মীদের ফেরার সুযোগ হয়েছে। তবে সবাই হয়ত যেতে পারবেন না। বর্তমান এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রমবাজার চালু করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা, বিরাজমান শ্রমবাজারগুলোতে আরও বেশি কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং নতুন বাজার খোলার চেষ্টা করতে হবে। আর জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী দিনের বাস্তবতার আলোকে দক্ষ কর্মী প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া বিদেশে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বর্তমান মহামারি করোনাভাইরাস ও বিভিন্ন গন্তব্য দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বৈদেশিক কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করলেও এ সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট সরকার। এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার হয়। মহামারির মধ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও ১০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি। সংকটের মধ্যেও এই বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

দেশে ফিরেছেন সোয়া ৩ লাখ প্রবাসী শ্রমিক : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তৈরি করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সৌদি আরব, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ওমান, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, রাশিয়া, জাপান, লন্ডন, লিবিয়াসহ ২৯টিরও বেশি দেশ থেকে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন শ্রমিক ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৮৪ জন। নারী ফিরেছেন ৩৯ হাজার ২৭৪ জন। ফেরত আসা শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিরেছেন সৌদি আরব থেকে। এ দেশটি থেকেই ৭৯ হাজার ৩৭১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ৭৯ হাজার ১২৮ জনকে ফেরত পাঠিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর ৩৩ হাজার ৮১ জনকে দেশে পাঠিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে কাতার। কর্মহীন হয়ে কিংবা চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে অধিকাংশ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন বলে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়। অনেকে আবার ফিরেছেন কারাভোগ করে আউট পাসের মাধ্যমে অথবা ভিসার মেয়াদ না থাকায় সাধারণ ক্ষমায়।

তবে প্রবাসীদের দেশে ফেরার এ সংখ্যাকে খুব বেশি আশঙ্কাজনক মনে করছে না প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, আশঙ্কা করা হয়েছিল অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনার প্রভাবে প্রধান কর্মী নিয়োগকারী দেশগুলোর শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হওয়ায় অনেক বিদেশি কর্মী বেকার হয়ে পড়বে। কিন্তু আশার কথা হলো, এখন পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদেশে আমাদের মিশন ও দূতাবাস একযোগে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

প্রবাসে কাজে ফেরা নিয়ে সংকট, শ্রমিকদের বিক্ষোভ : করোনার কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মীদের কাজে ফেরা নিয়ে বেশ সংকট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সৌদি প্রবাসীরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েন। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে সৌদি রুটের ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ায় টিকিট নিশ্চিত করা নিয়ে তুলকালাম কা- ঘটে। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রবাসে ফিরতে টিকিট না পেয়ে একপর্যায়ে কর্মীরা ঢাকায় বিমান ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্সসহ রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। অন্যদিকে ভিসা ও আকামার মেয়াদ বাড়াতে দূতাবাসেও বিক্ষোভ করেন তারা। এক পর্যায়ে সরকারের নানা উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে কর্মীদের ভিসা ও আকামার মেয়াদ বৃদ্ধি এবং টিকিট ও ফ্লাইট সমস্যার সমাধান হয়। তবে এরপরও করোনা পরিস্থিতিতে উদ্ভূত নানা কারণে দেশে আসা শ্রমিকদের অনেকে তাদের কাজে ফিরতে পারেননি বলে জানা গেছে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ : করোনা মহামারিকালে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। গত ১৮ ডিসেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থাকে নিয়ে ১৪টি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে দুস্থ ও কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসী কর্মীদের মাঝে বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৯ কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার ওষুধ, ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, করোনাকালে সৌদি আরবের ডিপোর্টেশন সেন্টারে অবস্থানরত মোট ২০৭ জন নারী কর্মীকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে বিমান ভাড়া প্রদান করে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। একইভাবে লেবানন থেকে ৯৫ জন কর্মী এবং ভিয়েতনামে আটকেপড়া ১০৫ জন কর্মীকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। লকডাউনের সময় গত ২৯ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বিদেশ প্রত্যাগত ৫ হাজার ৯৭৪ জন কর্মীকে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে বিমানবন্দরে তাৎক্ষণিক মোট ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃত কর্মীর পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে ২০০ কোটি টাকার ‘বিনিয়োগ ঋণ’ প্রদান। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে গত ১৫ জুলাই হতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র ৪ শতাংশ সরল সুদে ও সহজ শর্তে এ ঋণ ?প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আওতায় ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১১ জন ঋণগ্রহীতাকে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

বিদেশফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। এরই মধ্যে প্রাপ্ত ২৫০ কোটি টাকা থেকে পুরুষ কর্মীদের জন্য ৯ শতাংশ সুদে ও নারী কর্মীদের জন্য ৭ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ শুরু হয়েছে। ফেরত আসা কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশনের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নির্বিশেষে সব প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী জানান, রিক্র্যুটিং এজেন্টগুলোর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা প্রদান, অফিস ভাড়াসহ অন্য খরচ বহন এবং রিক্র্যুটিং ব্যবসা পরিচালনা করার নিমিত্ত তাদের লাইসেন্সের জামানতের ৫০ শতাংশ অর্থ এবং মহিলা কর্মী প্রেরণ, জাপানে কর্মী প্রেরণ ও সিঙ্গাপুরে কর্মী প্রেরণের বিপরীতে জমাকৃত জামানতের ৫০ শতাংশ টাকা এক বছরে ফেরতযোগ্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

ইমরান আহমদ বলেন, দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে দেশে ৬৪টি টিটিসি ও ছয়টি আইএমটি চালু রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪০টি টিটিসি নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। মুজিববর্ষের বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে আরও ১০০টি টিটিসি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিদেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তাদের লব্ধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সনদ প্রদানের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে বলেও জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী।

আরো সংবাদ