স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সৈয়দ আবুল মকসুদের জীবনাবসান

লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি …. রাজিউন)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ জানান, বিকেলে তার বাবার হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান। তখনই তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়।

সৈয়দ আবুল মকসুদের বাংলাদেশের রাজনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে অনেক বই রয়েছে। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।

সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও মা সালেহা বেগম।

তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত পাকিস্তান সোশ্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক ‘জনতা’য় কাজ করেন। ১৯৭১ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায়। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- জীবনী: মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর জীবন, কর্মকাণ্ড, রাজনীতি ও দর্শন (১৯৮৬), ভাসানী কাহিনী (২০১৩); সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য (২০১১), স্মৃতিতে ওয়ালীউল্লাহ (২০১৪)। প্রবন্ধ: যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, বাঙালির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ঢাকায় বুদ্ধদেব বসু প্রভৃতি। ভ্রমণকাহিনি: জার্মানির জার্নাল, পারস্যের পত্রাবলি।

আরো সংবাদ