স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রথম পর্যায়ে প্রায় দেড় লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথম পর্যায় প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ তালিকায় স্থান পেয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জনের নাম। এ ছাড়া ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তালিকা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তৃণমূল থেকে তদন্তের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বীর মুক্তিযযােদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছি। সে অনুযায়ী আজ বীর মুক্তিযােদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথম পর্যায় প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রাথমিক তালিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ বরিশাল বিভাগের ১২ হাজার ৫৬৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩০ হাজার ৫৩ জন, ঢাকা বিভাগের ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১০ হাজার ৫৮৮ জন, খুলনা বিভাগের ১৭ হাজার ৬৩০ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ হাজার ৮৮৯ জন, রংপুর বিভাগের ১৫ হাজার ১৫৮ জন ও সিলেট বিভাগের ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়।

এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যকতম প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার কবির ঢাকো পোস্টকে বলেন, দেরিতে হলেও সরকার এ তালিকা প্রকাশ করেছেন। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ‘ক’ তালিকাও যে ত্রুটিপূর্ণ নয়, তা বলা যাবে না। আসলে এ ধরনের তালিকা চূড়ান্ত হয় ধাপে ধাপে। আমি বলবো- এ তালিকায় ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করতে হবে।

স্বাধীনতাবিরােধী শক্তি ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজাকার, আলবদর, আল শামসসহ স্বাধীনতাবিরােধীদের পুনর্বাসিত করেছে এবং অমুক্তিযােদ্ধাদের মুক্তিযােদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারে (এমআইএস) যুক্ত হওয়াদের তালিকাই প্রকাশ করছে সরকার। তবে বেসামরিক তালিকায় থাকা নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত ৩৯ হাজার ২৪৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৬৩১ জন বিভিন্ন বাহিনীর।

সারা দেশের ৪৯১টি উপজেলা ও মহানগর কমিটির মধ্যে ৩৭৯টি কমিটির মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রতিবেদন পেয়েছে মন্ত্রণালয়। সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরও সব প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় দেড় লাখ নতুন আবেদন জমা হয়। নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত করে সরকার।

এতদিন জেলা প্রশাসনের তালিকার ভিত্তিতেই ১ লাখ ৯২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা পাঠানো হতো। এমআইএস সফটওয়্যারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার পর ওই সংখ্যা ২১ হাজার কমেছে।

আরো সংবাদ