স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে গিনেস প্রতিনিধি দলের সন্তোষ প্রকাশ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকার উদ্যোগটি গিনেস বুক রেকর্ডে স্থান পেতে এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গিনেস প্রতিনিধি দল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু মাঠ পরিদর্শন শেষে এমন আশার কথা জানালেন।

পরিদর্শনে তারা সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে তারা পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দেবেন গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে, সেখান থেকে আগামী সপ্তাহেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

গিনেস বুক রেকর্ডের জন্য যে নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছিল মালেন্দা গ্রামে তা অনুসরণ করেই শস্যচিত্র ফুটে তোলা হয়েছে মন্তব্য করে পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরি বলেন, এখানকার আয়তন, শস্যের ঘনত্ব সবকিছুই সন্তোষজনক। ফলে আশা করা যাচ্ছে, দ্রুতই গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। তার আগে আগামী তিন দিনের মধ্যে তারা এই পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত গিনেস বুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন বলেও উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি হিসেবে মালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্র পরিদর্শন করেন শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরি।

উল্লেখ্য, কৃষি জমিকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে দুই প্রজাতির ধানের সুপরিকল্পিত ও শৈল্পিক চাষের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকার উদ্যোগ নেয়া হয় এই গ্রামের মাঠে। এর ফলে ১০০ বিঘা জমিতে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। ইতিমধ্যেই সবুজ আর বেগুনি ধানের চারায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এবং দর্শনার্থীদের তা বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ এই প্রতিকৃতি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে সহযোগিতা দিচ্ছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার।

আরো সংবাদ