স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

যেখান থেকেই পাই ভ্যাকসিন নেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনার তীব্রতা মোকাবিলায় ভারত, চীন, রাশিয়া ও আমেরিকাসহ একাধিক দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যেখান থেকেই পাব ভ্যাকসিন নেব বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া মেডিকেল অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্যও সরকারের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

দক্ষিণ এশিয়াতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে করোনা প্রতিরোধে সহযোগিতামূলক একটি জোট কার্যকর করতে চায় চীন। যা করোনা পরবর্তী সময়েও সহযোগিতামূলক কার্যক্রম সচল থাকবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠক করেন।

এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, মানুষের মঙ্গলের জন্য যা যা দরকার আমরা তার সবই করব। তাই চীনের উদ্যোগে আজকে যে বৈঠক হয়েছে তাতে যোগ দিয়েছি। এর আগে গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সার্ক কোভিড তহবিলেও আমরা যোগ দিয়েছি। মানুষের মঙ্গলের জন্য আমরা এসব ফোরামে একটিভ থাকতে চাই। তাই এসব বিষয়ক সকল বহুপক্ষীয় ফোরামে আমরা থাকব। চীনের এই উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, চীনের উদ্যোগে আজকের বৈঠকে বলেছি— আমাদের এখন ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজন। তাই যেখান থেকেই পাই ভ্যাকসিন নেব। এর আগে ভারত থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য চুক্তি করেছিলাম। করোনা মোকাবিলার যে পরিকল্পনা করেছিলাম তাতে আমাদের সংক্রমণের তীব্রতা অনেক নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু নতুন একটি ওয়েভ এসে তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা এখন চীন, রাশিয়া, ভারত এবং আমেরিকা থেকে ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছি।

এমন সময়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, যেখান থেকেই আসুক আগামী ২ সপ্তাহ লাগবে ভ্যাকসিন আসতে।

এর আগে চীন ও রাশিয়া ভ্যাকসিন বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও বাংলাদেশ কেন আগ্রহ দেখায়নি— এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তখন ওই ভ্যাকসিনগুলোর অনুমোদন দেয়নি। তাই আমরা জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আগ্রহ দেখাইনি। এরপর জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আমরা আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বড় বড় দেশগুলো কী করছে তা পর্যবেক্ষণ করে এখন আমরা সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে এই বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এসব দেশের যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়েছি। এখন বাকি কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করবে।

চীনের উদ্যোগ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন করোনা মোকাবিলায় তিনটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চায়। করোনার সময় জরুরি মেডিকেল ফ্যাসিলিটি সেবা, করোনার পরবর্তীতে অর্থনৈতিক দারিদ্র দূরীকরণ কেন্দ্র এবং দারিদ্রতা কমাতে ইকমার্স করতে চায় চীন।

আরো সংবাদ